বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত একটি মামলা হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্ব পৌঁছাতে যাচ্ছে, যখন ১৫ জানুয়ারি (বুধবার) আপিল বিভাগের রায় ঘোষিত হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এই মামলায়, তিনি তার ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।

“জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার আপিলের রায় বুধবার ঘোষণা”
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি), প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ শুনানি শেষে এই মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন বেশ কিছু জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, যেমন—জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। শুনানির পর আদালত আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
বীর্য বেশিক্ষণ ধরে রাখার উপায় কি?
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর পরে, হাইকোর্ট তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে দেন। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ছয়জন আসামি সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। তবে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দাবি করেন, হাইকোর্টের রায় আইনের মারাত্মক ব্যত্যয় ঘটিয়েছে এবং তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাদের যুক্তি, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা এখনো সুরক্ষিত রয়েছে এবং এই রায়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্য ছিল।
২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর, আপিল বিভাগের আদালত খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন এবং তার ১০ বছরের সাজা স্থগিত করে দেন। একই সঙ্গে, খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এখন, ১৫ জানুয়ারি এই আপিলের রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে এবং এ রায়ের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যথেষ্ট আলোচনা চলছে।
কনডম ব্যবহারে যে ভুলগুলো আপনি করেন!
যৌন আগ্রহ কমিয়ে দেয় যে খাবারগুলো
এই মামলার রায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান এবং আগামী নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং, ১৫ জানুয়ারি রায়ের দিনটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।
এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।