আপনার চুল হয়তো দেখতে সুন্দর, কিন্তু যদি তা নিয়মিত পড়তেই থাকে, তবে একসময় স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারাতে বাধ্য। মানসিক নানা চাপ, পরিবেশ দূষণ, শারীরিক অসুস্থতা এমন নানা কারণেই চুল পাতলা হতে শুরু করে। এর বাইরে চুলে নানা কেমিক্যাল প্রয়োগের কারণেও চুল পড়তে পারে।

পাতলা চুল ঘন করার সবচেয়ে সহজ উপায় দেখে নিন
অস্বাভাবিক চু,ল পড়তে থাকলে তার দ্রুত সমাধান দরকার। কারণ যে কারণেই চুল পড়ুক না কেন, নিয়মিত সঠিক উপায়ে যত্ন নিলে চু,ল ঘন হবেই। সেইসঙ্গে হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বলও। কীভাবে পাবেন? চলুন জেনে নেয়া যাক-
সপ্তাহে অন্তত একদিন শ্যাম্পু করার আগে গরম তেল দিয়ে চুলে আর স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। আমন্ড অয়েল, নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল বা অ্যাভোকাডোর মতো প্রাকৃতিক তেল চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়, চুলের রুক্ষতা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত স্ক্যাল্প মাসাজ করলে রক্ত সংবহন বাড়ে, চুলের ঘনভাব ফিরে আসে।
অয়েল মাসাজের মতো ড্রাই মাসাজও চুলের জন্য উপকারী। প্রতি রাতে শুতে যাওয়ার আগে আঙুলের ডগা দিয়ে স্ক্যাল্পটা এমনি মাসাজ করুন। এতেও স্ক্যাল্পে রক্ত সংবহন বাড়বে, চুলের গোছা বাড়বে।
ক্যাস্টর অয়েল, পেঁয়াজের রস, অ্যালোভেরা জেল, নারিকেল তেলের মতো সাধারণ উপাদানে এমন অজস্র ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা পাতলা চুল ঘন করতে ভীষণ কার্যকরী। এসব উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিন আপনার নিজস্ব হেয়ার মাস্ক। চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলেই চু,ল ধীরে ধীরে ঘন হতে শুরু করবে।
যত্ন নেয়ার পাশাপাশি নজর দিন খাবারেও। ডিম, মাছ, দুধ, দই বা ছানা নিয়মিত খেতে হবে। ব্রকলি, পালং, বাঁধাকপির মতো সবুজ শাকসবজি চুলের কেরাটিন মজবুত করে চুল ঘন করে তোলে। কমলা, স্ট্রবেরি, পেয়ারার মতো ফল প্রতিদিন খান।
নারিকেল অথবা ওলিভ অয়েলের সঙ্গে মেথি ভিজিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে পারেন। কারণ এ দুই তেল ও মেথি উপাদান চু,ল ঘন করতে দারুণ কার্যকরী। এছাড়া অ্যালোভেরা, আমলকী অথবা মেহেদি পেস্ট পেস্ট দিয়ে মাথার তালু ও চুলে ম্যাসাজ করে ২ ঘন্টা পর শ্যাম্পু করুন। নিয়মিত এ অভ্যাসেও চুল ঘন হতে শুরু করবে।
ফেসবুক পেজ
আপনাদের কোন প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।