সহপাঠীরা আমাকে পছন্দ করে না,কথাটা শোনার পর কি বিষয় টা নিজের সাথে মিল পাচ্ছেন?জীবনে চলার পথে বিভিন্ন কারণে বিষণ্ণতা ঘিরে ধরতে পারে, থমকে যেতে পারে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হতাশার এই সময়ে সঠিক দিকনির্দেশনা সাহায্য করতে পারে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে।
মনোরোগ চিকিৎসক আতিকুল হক,তিনি অনেক টা পরিস্কার মন্তব্য রেখে গেছেন।আমরা সেসব নিয়েই এখন জানবো।
প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৫ বছর। আমি খুব অস্থির থাকি সবসময়। অস্থিরতার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হতে থাকে। আমার জীবনে সবকিছুই চাই। কোনোটা ফেলে কোনোটা পেতে ইচ্ছে করে না। নিজের কারণেই নিজে শান্তি পাই না কোথাও। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করবো?
উত্তর: আমরা জীবনে অনেক কিছুই চাইতে পারি। কিন্তু সবকিছু একসাথে পাওয়ার চেষ্টা করাটা অনুচিত। কারণ প্রত্যেকের জীবনে যা কিছু প্রাপ্য তা প্রকৃতির নিয়মেই চলে আসবে, সে চেষ্টা করুক বা নাই করুক। সুতরাং তাড়াহুড়ো করে লাভ নেই। বিশেষভাবে কোনও কিছুর অপেক্ষা না করে থাকলে যথাসময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ আপনার মধ্য থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বের হয়ে আসবে। নিচের পরামর্শগুলো আপনাকে এই বিষয়ে সহায়তা করবে:
১) প্রতিদিন কিছু সময় মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
২) শারীরিক ব্যায়াম মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি আপনার শরীরকে রিল্যাক্স করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
৩) প্রতিদিন কিছু সময় নিজের জন্য রাখুন। যা করতে ভালো লাগে, যেমন বই পড়া, গান শোনা গাছপালার পরিচর্যা করা, পোষা প্রাণী নিয়ে সময় কাটানো বা বাইরে হাঁটতে যাওয়া।
৪) প্রতিদিন কিছু সময় খালি পায়ে মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকুন।
৫) মাঝেমধ্যে প্রকৃতির মাঝে গাছপালার সাথে সময় কাটান।
৬) আপনার অনুভূতিগুলো পরিবারের সাথে শেয়ার করুন। তারা হয়তো আপনার সমস্যাগুলো বুঝতে এবং সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে।
প্রশ্ন: আমার বয়স ২৩ বছর। মেডিক্যালে পড়ি। সহপাঠীরা আমাকে পছন্দ করে না। কেন করে না জানি না। সবাই নিজের মতো গ্রুপ করে নিয়েছে। আমার খুব একা লাগে আর বিষণ্ণ লাগে। ক্লাস করতে ইচ্ছে করে না। আমার মধ্যে কী সমস্যা কীভাবে বুঝবো? আমি স্টুডেন্ট হিসেবে ভালো, গল্প করতেও ভালোবাসি। অন্যের উপকার করি সবসময়, তারপরেও কেন এমন হয় আমার সাথে?
উত্তর: আপনার একাকীত্ব এবং বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে নিচের পরামর্শগুলো আপনাকে সহায়তা করতে পারে:
১) প্রথমেই নিজের গুণাবলী ও শক্তিগুলোকে মূল্যায়ন করুন। আপনি একজন ভালো ছাত্র এবং গল্প করতে ভালোবাসেন, এটি ইতিবাচক দিক।
২) একই সাথে নিজের নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলোকে খুঁজে বের করুন এবং সেগুলোকে পরিবর্তনের চেষ্টা না করে আপন করে নিন। ভালোমন্দ সকল বৈশিষ্ট্য নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
৩) চেষ্টা করুন সহপাঠীদের সাথে খোলামেলা কথা বলতে। হয়তো তারা আপনার সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করছে। তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন।
৪) নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন যা আপনাকে আনন্দ দেয়। এটি আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
৫) মেডিক্যাল কলেজে বিভিন্ন ক্লাব বা গ্রুপ থাকতে পারে। সেখানে যোগ দিয়ে নতুন নতুন স্বেচ্ছাসেবী কাজসহ বিভিন্ন উদ্দীপনামূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকুন। সেই সঙ্গে নতুন কিছু বন্ধু বানানোর চেষ্টা করুন।
৬) পরিবারের সদস্য বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করুন। তারা হয়তো আপনাকে মানসিকভাবে সমর্থন করতে পারবেন।
৭) নিজেকে নিঃশর্ত ভালোবাসা দিতে চেষ্টা করুন। তাহলে আপনাকে অন্যের দ্বারা মূল্যায়নের অপেক্ষা করতে হবে না বা অন্যরা মূল্যায়ন না করলেও আপনার কোনও কষ্ট হবে না।
বৈশাখ স্পেশাল বেগুন রোস্ট
বিভিন্ন রঙের হেয়ার অ্যাকসেসরিজ হোক চুলের সাজে
ফেসবুক পেজ
মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।
এরপরও আপনাদের কোর প্রকার অভিযোগ থাকলে Contact Us মেনুতে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন,
আমরা আপনাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করব।