সব ঠিক থাকলে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি টেস্ট খেলতে আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৯ অক্টোবর।
কেমন নিরাপত্তা পাবে বাংলাদেশ সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার দল
এই দুই টেস্টের সিরিজ সামনে রেখে পরশু রাতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ঢাকায় এসেছে চার সদস্যের পর্যবেক্ষক দল। এই দলে আছেন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট অপারেশনস ম্যানেজার, দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সিকিউরিটি ম্যানেজার, নিরাপত্তা পরামর্শক ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের সংগঠনের প্রতিনিধি।
বিদেশি দলের বাংলাদেশ সফরের আগে এ রকম প্রতিনিধিদলের আসাটা নতুন কিছু নয়। সিরিজপূর্ব নিয়মিত কাজেরই অংশ এটি। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরে যাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সফরও কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিদলের রুটিন সফরও তাই পাচ্ছে কিছুটা বাড়তি গুরুত্ব।তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সিরিজের মতোই। তাতে বাড়তি কিছু যোগ হচ্ছে না বলেই জানিয়েছে সূত্র।
নিরাপত্তা মহড়ায় হেলিকপ্টারও আনা হয়েছিল। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস, দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান রাইয়ান আজাদ ও গ্রাউন্ডস ম্যানেজার সৈয়দ আবদুল বাতেনের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা প্রতিনিধিদলটি আজ চট্টগ্রাম সফর করেছে।জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ছাড়াও তাঁরা পরিদর্শন করেছে টিম হোটেল, চোখ রেখেছে মাঠ থেকে হোটেলে যাওয়া-আসার পথে। স্টেডিয়ামে তারা যথারীতি ড্রেসিংরুম, মাঠ, ইনডোর অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা ঘুরে দেখেছেন। পরে সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট চলাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে যে নিরাপত্তা দেওয়া হবে, সে সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয় তাদের।প্রতিনিধিদল আগামীকাল পরিদর্শন করবে প্রথম টেস্টের ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। সেখানে তারা দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের নিরাপত্তা মহড়া দেখবে। তার আগে গতকাল ও আজ মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এই মহড়ার মহড়াও করে গেছেন।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস অবশ্য বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সিরিজের সময় নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট কাঠামো দাঁড়িয়ে গিয়েছিল আমাদের। যাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে আসতেন, তাঁরা এতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন।কিন্তু দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁদের অনেকেই এখন এখানে নেই। নতুন যাঁরা দায়িত্ব পালন করবেন, মূলত তাঁদের সিরিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে অভ্যস্ত করতেই এই মহড়া।’
সূত্র – বিসিবি