প্রায় একই সময়ে একই অফিসে জয়েন করেছেন টুটুল ও রাজীব । কিন্তু অবাক ব্যাপার টুটুল একের পর এক প্রমোশন পেয়ে উপরে উঠছেন সবাইকে পেছনে ফেলে । সবাই ভাবে কী এমন গোপন রহস্য, সারাদিন কর্মক্ষম থাকার ? কোথায় পান তিনি এত্ত এনার্জি ?
না ! নেই কোন গোপন রহস্য ।কর্মক্ষমতা বাড়ানোর কিছু জাদুময় গোপন রহস্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর দিয়ে আপনিও থাকুন সারাদিন এনার্জিময়……
ঘুম হোক তৃপ্তিমত
মানব শরীর যন্ত্রের মতো । সারাদিন পরিশ্রমে শরীরে যে ক্লান্তি জমে তা দূর করে ঘুম । ঘুমের মাধ্যমে শরীর তার ক্ষয় পূরণ করে নতুন ঝরঝরে করে গড়ে তোলে নতুন কাজের জন্য । তাই ঘুমকে অবহেলা করবেন না । প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট । তাই পর্যাপ্ত ঘুমান আর ঘুম শেষে তরতাজা হয়ে শুরু করুন কাজ ।
প্রাতরাশ করুন পুষ্টিকর খাবারে
সারারাত না খেয়ে পার করার পর সকালের খাবার শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কেননা সকালের খাবার আপনাকে সারাদিন চলার গ্যাসোলিনের জোগান দেবে । আবার প্রাতরাশ আপনার শরীরের কোলেষ্টেরল নিঃসরণ বা স্ট্রেস হরমোনকে বাধাগ্রস্থ করে ফলে শরীরে ক্লান্তি বা স্ট্রেস কম আসে । তাই দিন শুরু করুন পুষ্টিকর প্রাতঃরাশ খাবার দিয়ে ।
সর্বক্ষণ তরল খাবার থাকুক হাতের কাছে
তরল খাবার সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে, দেহের কোষগুলোকে রাখে সতেজ । তাই শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে তরল খাবার কোন বিকল্প নেই । তাই বেশি করে তরল খাবার পান করুন ।
পরিমাণ নয় খাবারের গ্রহনের সংখ্যা বাড়ান
একবারে বেশি খাবার খাবেন না । অল্প অল্প করে বার বার খাবার গ্রহণ করুন । একেবারে অধিক খাবার খেলে সেটা হজম করতে শরীরের অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন পরে । তাই আমরা পেটভরে খাবার গ্রহনের পর ক্লান্তি অনুভব করি । শুধু তাই নয়, একবারে অধিক খাবারে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহন হয়ে যায় ফলে দ্রুত দেহের ওজন বাড়ে এবং শরীরের কর্মক্ষমতা কমে যায় । তাই বারে বারে খাবার গ্রহনের অভ্যাস তৈরি করুন ।
পুষ্টিকর ও আঁশজাতীয় খাবার খান
আঁশজাতীয় খাবারের আঁশ হজমের সময় শর্করা শোষণে দেরি করায়, যার ফলে শর্করা রক্তে দ্রুতগতিতে প্রবেশ না করে ধীরে ধীরে মধ্যম গতিতে প্রবেশ করে । যার দরুন দেহে শক্তির যোগান বজায় থাকে। তাই সবসময় খাবারে পুষ্টিকর ও আঁশজাতীয় খাবার রাখুন ।
কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে শরীর চর্চার ভুমিকা
কর্মক্ষমতা বাড়ানোর কিছু জাদুময় গোপন রহস্য এর মধ্যে. শরীর চর্চার অসাধারন ভুমিকা রয়েছে । শরীর চর্চার ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, হৃদযন্ত্রের গতি বারে এবং দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাসের সাথে শরীরে প্রবেশ করে অতিরিক্ত অক্সিজেন । তাই এতে দেহ পায় অধিক জ্বালানী ।
কাজের ফাঁকে নিন ছোট্ট বিরতি
একটানা কাজ করলে কাজে আসবে বিরক্তি আর শরীর হয়ে উঠবে ক্লান্ত। ফলে কর্মক্ষমতা হারাতে হবে । এর হাত থেকে বাঁচতে কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিন অল্প সময়ের বিরতি ।
অনুভূতি শেয়ার করুন
মনের অনুভূতি চেপে রাখবেন না; মনের কথাগুলো বিশ্বস্ত বন্ধুর কাছে খুলে বলুন । না হলে মনে রাগ দুঃখ চেপে রাখার ফলে দেহে আসবে ক্লান্তি ।
মন চনমনে রেখে কাজ করে যেতে গানের কোন জুড়ি নেই । তাই সময় পেলেই প্রিয় গান শুনে নিজেকে ঝরঝরে করে নিতে পারেন । আবার কাজের ফাঁকে হাতে তুলে নিতে পারেন, এক মগ চা অথবা কফি যা আপনার সাময়িক ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে । তবে অবশ্যই অতিরিক্ত নয় ।
এভাবে আপনার কর্মক্ষতা বাড়িয়ে তুলুন । আর এই প্রতিযোগিতামূলক সময়ে নিজেকে করে তুলুন যোগ্যময় ।
পুরুষের যে সুন্দর্য দারুনভাবে নারীর চোঁখে ধরা পড়ে
আশাকরি আমাদের টিপসগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।
যদি সমান্যতম কাজে লাগে তবে একটা ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।
আর নিয়মিত টিপস পেতে আমাদের সাথে থাকুন।
ফেসবুক পেজ
আমাদের সাইটে কোন প্রকার অশ্লীল আর্টিকেল দেওয়া হয় না।
মূলত যৌন জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করে তোলার জন্য জানা অজানা অনেক কিছু তুলে ধরা হয়।